বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়া সদর থানা থেকে তাদের মুক্তি দিলে বিকেল ৬টায় তারা ক্যাম্পাসে পৌঁছায়।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২২ শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়া সদর থানায় নিয়ে আসা হয়।
আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে আজও প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা। বেলা ১০টা থেকে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরে দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল এ বিষয় নিয়ে অনুষদের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ৫ বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লেও প্রশাসন এবং অনুষদের ডিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুপুর ২টায় অনুষদের ডিন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
এতে অফিসের ভেতরে আটকা পড়েন অফিস সহকারী আব্দুল মমিন ও পিওন বাদল। রাত ৯টায় অবরুদ্ধ দুই কর্মচারীদেরকে উদ্ধার করতে আসেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম ও ছাত্র-উপদেষ্টা ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ। তারা ভবনের ভেতরে ঢুকলে তাদেরকেও অবরুদ্ধ করে আন্দোলনকারীরা।
তাদের উদ্ধার করতে রাত ১টার দিকে সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিছুর রহমান ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আহসান-উল হক আম্বিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
তারা রাত ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে ব্যর্থ হলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা ও দুই কর্মচারীকে উদ্ধার করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা করিডোরে অবস্থান নিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে স্লোগান দিতে থাকেলে পুলিশ ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
জিপি