বুধবার (২৪ এপ্রিল) শাস্তিপ্রাপ্তদের নামে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে, তদন্ত কমিটির সুপারিশে ২১ এপ্রিল ঢাকায় লিয়াঁজো অফিসে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থায়ী বহিষ্কারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার, সহ-সভাপতি মো. ইমরান মিয়া ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জাবির ইকবাল। এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন- সহ-সভাপতি আদ্রিতা পান্না ও ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ঈশিতা বিশ্বাস। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ঈশিতা বিশ্বাস তিশা পূর্ববর্তী সেমিস্টারে পাস না করলেও তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের বিধি অমান্য করে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব তালুকদার ও তার সহযোগীরা বসিয়ে দেন। এ সময় ওই বিভাগের শিক্ষকরা বাধা দিতে গেলে লাঞ্ছনার শিকার হন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পরদিন ৫৬ শিক্ষক প্রশাসনিক ও একাডেমিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভার মাধ্যমে পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেন এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরকে আহ্বায়ক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য একেএম সাইদুল হক চৌধুরীকে সদস্য সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. সিরাজুল ইসলামকে সদস্য করা হয়।
প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোর্সে ভর্তি বা চাকরির জন্য আবেদনের যোগ্য হবেন না এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এনটি