তিনি বলেছেন, আমাদের বিদ্যালয়ের কমিটিগুলোতে নিজেদের কর্তৃত্ব ফলানোর জন্য শিক্ষকদের থেকেও কম শিক্ষিত লোকজনকে নিয়োগ দিচ্ছি। যার ফলে শিক্ষকরা তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিক্ষক সম্মেলনে উপমন্ত্রী এ কথা বলেন। সম্মেলনের প্রথম পর্বের ‘আমার গ্রাম-আমার শহর-আমার শিক্ষা’ বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নওফেল এমনটি উপস্থাপন করেন।
এসময় তিনি বলেন, আজকে ভিয়েতনাম শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। এর পেছনে শিক্ষকদের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা ছিল। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা যে দক্ষতা অর্জন করছেন, তা যদি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রয়োগ করতে না পারেন, তার ওপরে যদি ব্যবস্থাপনা কমিটি খবরদারি করে, তাহলে সেই শিক্ষক পাঠদানে নিরুৎসাহিত হবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই আমাদের ব্যবস্থাপনা কমিটির বিষয়ে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ব্যবস্থাপনা কমটিগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও আলোচনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ।
এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ‘ফিউচার এডুকেশন অব বাংলাদেশ’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
পরে আলোচনায় মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।
আলোচনা শেষে সম্মেলনের প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
আরকেআর/টিএ