বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ কর্মসূচিতে ছয়জন শিক্ষার্থী ও দুইজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন।
দুপুর ২টার দিকে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অনশনে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি কায়ছার আহম্মেদ জয় ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান এবং ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনশনে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি কায়ছার আহম্মেদ জয়, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়াসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক যোগ দিয়েছেন। উপাচার্যের অপসারণ অথবা পূর্ণ মেয়াদে ছুটিতে না পাঠানো পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ৩১ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। আন্দোলনের ৩০তম দিন অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এরপরও প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।
তারা বলেন, ভিসির অপসারণের খবর না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক সমিতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষক তাদের নিজ নিজ প্রশাসনিক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেওয়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, শিক্ষকদের একাংশসহ কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৪ এপ্রিল থেকে ভিসির অপসারণের দাবিতে একযোগে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
এমএস/একে/এএ