শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে অনশন স্থগিতের ঘোষণা দেন অনশনকারীরা।
ববির সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অনশনকারীদের কাছে হাজির হন।
গত তিনদিনে অনশনকারীদের বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের অনশন ভাঙানোর অনুরোধ করেন। সুশীল সমাজের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অনশন আগামী সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্থগিত করার ঘোষণা দেন। এসময় জুস খাইয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এদিকে সোমবারের মধ্যে ভিসির অপসারণ অথবা পুর্ন মেয়াদের ছুটি না হলে পুনরায় কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন অনশনকারীরা। এছাড়া অনশন স্থগিত করলেও অবস্থান ধর্মঘট চালু রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদলের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল, বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ স ম ইমানুল হাকিম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোতালেব হাওলাদার প্রমুখ।
প্রফেসর মো. হানিফ জানান, সোমবার পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা। আমরা মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় চেয়েছি। এই সমস্যার সমাধান এই সময়ের মধ্যেই আশা করি হবে।
ববি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর জানান, সোমবার পর্যন্ত আমরন অনশন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে। আর এই সময়ের মধ্যে ভিসিকে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে মঙ্গলবার থেকে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া টানা তিনদিনের অনশন কর্মসূচিতে ২৫জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয় প্রতিবাদ করলে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কটুক্তি করেন। এর প্রতিবাদে ভিসিকে প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। গত ২৯ মার্চ ভিসি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট না হওয়ায় ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু তিনি পদত্যাগ না করে ১৫ দিনের ছুটিতে যাওয়ায় এবং সম্প্রতি দেওয়া বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়ায় তার অপসারণ দাবি করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এমএস/এএটি