প্রথমবারের এই সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১২টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। জবি থেকে কমপক্ষে একটি ডিগ্রি অর্জন করা যে কোনো শিক্ষার্থী এই সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছেন।
সমাবর্তনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণার পর গত ১ মার্চ থেকে শুরু হয় ওয়েবসাইটে (http://convocation.jnu.ac.bd) নিবন্ধন প্রক্রিয়া। প্রাথমিক আবেদনের পর প্রদান করা হয় কনভোকেশন আইডি। প্রাথমিকভাবে যারা সফলভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কনভোকেশন আইডি পেয়েছেন এবং ‘যারা টাকা জমা দিতে পারবেন’ তালিকায় নাম এসেছে, তারাই আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১২টার মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা; বিকাশ, রকেট বা শিউরক্যাশে টাকা জমা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে জবির নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অনার্স ও বিবিএ ডিগ্রির জন্য সব চার্জসহ ৩৪৩৪ টাকা ও মাস্টার্স ও এমবিএ ডিগ্রির জন্য ৪৪৪৪ টাকা দিতে হবে। এছাড়া পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রি অর্জনকারীদের ক্ষেত্রে চার্জসহ ৪৯৪৯ টাকা এবং সান্ধ্যকালীন ডিগ্রিধারীদের সমাবর্তনে অংশ নিতে গুনতে হবে ৬৮৬৮ টাকা। সমুদয় চার্জসহ এই টাকা প্রদানের পর কোনো এসএমএস না পেলেও কোনো চিন্তার কারণ নেই বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার দপ্তর।
তবে টাকা জমার কনফার্মেশন এর জন্য ওয়েবসাইটে বিকাশের নিশ্চিতকরণ আইডি বা Trix ID ইনপুট দিয়ে দেখে নিতে পারবেন ফি গৃহীত হয়েছে কি-না। টাকা গৃহীত হলেই তার অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সঠিক পথে রয়েছে বলেই ধরে নিতে পারবেন আবেদনকারীরা। তবে এক্ষেত্রে যদি ‘নট রিসিভড’ বা টাকা গৃহীত হয়নি জানানো হয় তাহলে অতিসত্বর রেজিস্ট্রার দপ্তরে যোগাযোগের নির্দেশনা রয়েছে।
আবেদন বা ফি প্রদানের পর আপাতত কোনো ধরনের ‘কনভোকেশন এন্ট্রি পাস’ দেওয়া হবে না। সব আবেদন শেষ হওয়ার পর একটি প্রাথমিক যাচাই শেষে সব অংশগ্রহণকারীদের একসঙ্গে এন্ট্রি পাস প্রদান করা হবে। এন্ট্রি পাস প্রদানের সময় ও তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত আনুমানিক ৪-৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। কাল-পরশু হয়তো সঠিক বলা যাবে কতোজন আবেদন করেছেন। যাদের সমস্যা হচ্ছে তারা আমার দপ্তরে যোগাযোগ করলে আমরা সমাধান করে দেবো। এছাড়া এন্ট্রি পাস পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
কেডি/এইচএ/