শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ড. হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অধ্যাপক আবদুল মতিন সরকারের স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, অধ্যাপক আবদুল মতিন সরকার একজন কর্মনিষ্ঠ ও বিনম্র চরিত্রের মানুষ ছিলন। তিনি আত্মত্যাগী ছিলেন। নিজের প্রাপ্তির জন্য কোনো মনোযোগী ছিলেন না। তিনি ছিলেন ‘থিঙ্ক ট্যাংক’। প্রতিপাদ্য নির্ণয়ে অসাধারণ ভূমিকা ছিল। সুবিধার জন্য কোথাও না যেয়ে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ট ছিলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, যতোদিন ইতিহাস পরিষদ থাকবে ততোদিন আবদুল মতিন সরকারের নাম চলে আসবে। তিনি আমাদের মধ্যে কর্মের মাধ্যমে জীবিত থাকবেন। নতুন প্রজন্মকে তার মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করতে হবে। তিনি তার মানবিক মূল্যবোধের কারণে সবার মধ্যে উচ্চমর্যাদা দখল করতে সক্ষম হয়েছেন।
সভাপতির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ইতিহাস পরিষদ যে চারজন মানুষ বলিষ্ঠভাবে তাদের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে সেখানে আবদুল মতিন সরকার অন্যতম। তিনি অনেক রকমের চিন্তা-ভাবনা উপস্থাপন করতেন। সবাই তা নির্দিধায় গ্রহণ করতেন। তিনি প্রচারবিমূখ এবং লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। আজকে অনুষ্ঠানে তার কর্মময় জীবন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। এটি আরও ব্যাপক আকারে করার প্রয়োজন আছে।
অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, অধ্যাপক আবদুল মতিন সরকার সব সময় সৎপরামর্শ ও সঠিক কথা বলার চেষ্টা করেছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইতিহাস পরিষদকে আগলে রেখেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/