সোমবার (৬ মে) প্রকাশিত ফলাফলে সূচকে ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ পাসের হার নিয়ে সবার উপরে রয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। অন্যদিকে গণিতে ভরাডুবিতে বোর্ডগুলোর মধ্যে সবার নিচে রয়েছে সিলেট বোর্ড।
এ বছর গণিতে ১ লাখ ৬ হাজার ১০২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৯ হাজার ৮৬৯ জন। শুধু গণিতেই ফেল করেছে ২৬ হাজার ২৩৩ শিক্ষার্থী। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গণিতে বেশি ফেল করায় সূচকে ২ শতাংশ পিছিয়ে সিলেট বোর্ড। এবার গণিতে পাসের হার ৭৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত বছর (২০১৮) ছিলো ৭৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গণিতে বেশি ফেল করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লটারিতে আমাদের বোর্ডের প্রশ্ন আসেনি। যে কারণে প্রশ্নপত্র এবার বেশি কঠিন ছিল শিক্ষার্থী ও হল সুপাররা বলেছিলেন।
সিলেটের শিক্ষার্থীরা গণিতে দুর্বল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গণিতে আরও ভালো করা প্রয়োজন। এজন্য উচ্চ মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মর্ডারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পাশাপাশি ক্লাস রুমেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
কবির আহমদ বলেন, আমরা এখন পরিমাণের চেয়ে মান ভালো করার চেষ্টা করছি। কেননা, গণিতে ভুল করলেই মার্ক কাটা হয়। অন্য থিওরিটিক্যাল বিষয়ে হয়তো দু/চার মার্ক দেওয়া যেতো। সেটা অংকে সম্ভব হয় না।
গত বছর সাধারণ গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে খারাপ ফলাফলের কারণেই আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হার সবচেয়ে কম সিলেট বোর্ডে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
গত বছরের তুলনায় এবার ৪৩৪টি জিপিএ-৫ বেশি এলেও সিলেট বোর্ডে ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার এবার। গত বছর গণিতে পাসের হার ছিলো ৭৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর আগের বছর (২০১৭ সালে) এ বিষয়ে পাসের হার ছিলো ৯১ দশমিক ১৯ শতাংশ।
এ বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ। সে তুলনায় পাসের হার বেড়েছে দশমিক ৪১ শতাংশ। তবে গত বছরের তুলায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৪৩৪টি। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৭৫৭ জন। গত বছর জিপিএ- ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিলো ৩ হাজার ১৯১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৮
এনইউ/ওএইচ/