সোমবার (৬ মে) তথ্যগুলো বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম।
তিনি বলেন, এবছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সর্বমোট ১ হাজার ৬১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
‘আসলে আমাদের এখান থেকে কেউ অকৃতকার্য হয়নি। সাধারণত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে তারা অকৃতকার্য হিসেবে গণ্য হয়। এখানেও যারা অকৃতকার্য হয়েছে এরা আসলে বিভিন্ন কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। অর্থাৎ, আমরা শতভাগ সফল। আর শিক্ষার্থীদের এমন ফলাফলের কারণে আমরা সন্তুষ্ট, তবে আরেকটু ভালো হলে হয়তো ভালো হতো। ’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা যাতে প্রাইভেট না পড়ান সেদিকে আমরা কঠোরভাবে নজর দেই। গতবছরও প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষকদের শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা নিজবাসায় সর্বোচ্চ ১০ জন এবং ছুটির দিনেও স্কুলে শিক্ষার্থী প্রতি ৩শ টাকার বিনিময়ে ৪০ জন পড়াতে পারবেন।
‘তাছাড়া আমাদের স্কুলে শিক্ষকদের ক্লাসে পড়ানোর পর আর প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হয় না। কেননা আমরা সিলেবাস শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো বুঝিয়ে শেষ করি। প্রাইভেট পড়ানো একপ্রকার বিলাসিতা হলেও কিছু কিছু শিক্ষার্থীর জন্য আবার এটা প্রয়োজন হয়। সেটার জন্যই সরকার ন্যূনতম প্রাইভেট পড়ানোর নির্দেশনা রেখেছেন এবং আমরা তা কঠোরভাবে মেনে চলি। যতটুকু সম্ভব মনিটরিং করে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। ’
এদিকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষায় বোর্ডের প্রশ্নে গণিত ও ধর্ম শিক্ষা বিষয়ে বেশি ভুল ছিল। এছাড়া বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে রেজাল্ট তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর গোল্ডেন জিপিএ ৫ বা সব বিষয়ে জিপিএ ৫ অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে এই কারণে।
এ বিষয়ে স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বোর্ড পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ের প্রশ্নে কিছুটা ভুল হয়েছিল। এটা তো বোর্ডের ভুল। তাছাড়া প্রশ্নও অনেক কঠিন হয়েছে। শিক্ষা বোর্ডকে আমরা জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এমএএম/এএ