সোমবার (৬ মে) দুপুরে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। এসময় ডা. লায়লা পারভিন বানুর পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার অপরাধ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী, রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। এরপর উপাচার্যকে ঘিরে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসেন তারা।
গবি সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান রনি বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার (০৬ মে) দুপুরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ মিলনায়তনে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। আমরা গোপন সূত্রে ওই বৈঠকের খবর জানতে পেরে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখি। এরপর চাপে পড়ে তারা আমাদের দাবি নিয়ে আলোচনায় বসেন। বিকেলে আলোচনার সারসংক্ষেপ আমাদের জানানো হয়।
সাধারণ ছাত্র পরিষদের সমন্বয়ক শেখ খোদারনূর রনি বাংলানিউজকে বলেন, আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। তারা মঙ্গলবার (০৭ মে) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আলোচনায় বসবেন। যেহেতু ডা. লায়লা পারভিন বানু হুমকি দিয়েছেন, তাই আমরা তাকে আর উপাচার্য হিসেবে চাই না। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য চাই। উনি ছাড়া যে কাউকেই আমরা উপাচার্য হিসেবে মেনে নেবো।
গত ৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ০২ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ডা. লায়লা পারভিন বানু ‘শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ এসে ধরে নিয়ে গেলে এর দায়ভার নেবেন না’ বলার পর থেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে গত ০৪ মে থেকে ডা. লায়লা পারভিন বানুর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
একে