বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একমাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ছাত্ররা বৈধ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ক্লাস বর্জন করছে ও সেমিস্টার ফি দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে।
রমজান মাস ও ঈদ সামনে থাকায় বেতন বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা তো মাসে মাসে টাকা দেয় না, প্রতি ছয় মাস পর পর টাকা জমা দেয়। এখন এক মাসের আন্দোলন ঘিরে শিক্ষকদের বেতন আটকে দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না।
প্রশাসনের এ ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ বাপ্পি বাংলানিউজকে বলেন, বৈধ উপাচার্যের আন্দোলনের সঙ্গে বেতন বন্ধের কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ, আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার ফি দিয়েছে। তাই রমজান মাস ও ঈদের কথা বিবেচনা করে প্রশাসনকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় গত ৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ রনি বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের এ যৌক্তিক আন্দোলনের শুরুতেই শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন না আটকানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আর এখন তো সেমিস্টার ফি দেওয়ার সময় না। ভিত্তিহীনভাবে শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও গোপন সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
একে