সোমবার (২০ মে) মিরপুরে ঢাকা পিটিআই’র কনফারেন্স হলে উদ্ভাবনী মেলা ও শোকেসিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে এর পাশাপাশি শিক্ষকদেরকে পাঠদানে মনোযোগী হওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
‘আপনার উদ্ভাবন আমরা করবো বাস্তবায়ন’ প্রতিপাদ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। এসময় মন্ত্রণালয়ের এবং অধিদপ্তরের মনিটরিং সিস্টেম শক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ২০৪১ সালে যারা উন্নত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন তাদের প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করে গড়ে তোলার জন্যই কাজ করছে বর্তমান সরকার। তিনি বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই। শিশুদের ছোট বয়স থেকেই স্কুলের পাশাপাশি নিজের ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যও উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল আলম বাবুল বলেন, ইনোভেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া যা ধীরেধীরে গণমুখী হয়ে যায়। তিনি উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা এবং শিক্ষার্থী ভর্তিতে এবং শিক্ষক বদলিতে অনলাইন পদ্ধতি চালু করার ওপর জোর দেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ স্কুল প্রাঙ্গণে বাগান করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শিক্ষা দেওয়া এবং প্রি-প্রাইমারি ক্লাস সাজানোর জন্য অভিভাবক মহল থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
২০১৩ সাল থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইনোভেশন কর্মকাণ্ড শুরু হয়। নাগরিক সেবা দেওয়া, নৈতিকতা বিকাশ এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা-এ তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মূলত উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো নিয়ে কাজ করা হয়। বর্তমান অর্থ বছর ২০১৮-১৯ এ ১১৫টি উদ্ভাবনী আইডিয়া পাওয়া যায়, যার মধ্যে মেলায় প্রদর্শিত হয় ১৫টি। এসব আইডিয়ার অধিকাংশই প্রাথমিক শিক্ষকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস