তিনি বলেছেন, জীবনের নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সংগ্রামবহুল জীবন কেটেছে কবি নজরুলের। কঠিন বাস্তবতাতেও তিনি দমে যাননি।
স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আকাঙ্খার কারণে তাকে ইংরেজ সরকারের জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। একজন কবি মানুষের অধিকার ও সাম্যের কথা বলায় ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর বিরাগভাজন হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন।
ধর্ম ব্যবসায়ী ফতোয়াবাজদের মুখোশ খুলে দেওয়ায় কাফের নামেও অভিহিত হয়েছেন।
কিন্তু কোনো কিছুই জাতীয় কবিকে ভীত করে দমাতে পারেনি। আমরা তার কাছ থেকে লাভ করেছি সাহস ও শৈর্য্য, অর্জন করেছি প্রতিবাদের ভাষা। আর তাই ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং আজো আমাদের যেকোন প্রতিবাদে নজরুল আমাদের নিত্যসঙ্গী।
শনিবার (২৫ মে) বিকেলে ময়মনসিংহের ত্রিশালে কবির বাল্য স্মৃতি বিজড়িত দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠের নজরুল মঞ্চে তিন দিনব্যাপী নজরুল জন্ম জয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কাজী খালিদ বাবু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কবিপৌত্রী ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য খিলখিল কাজী। নজরুল স্মারক বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
নজরুলের সঙ্গীত ও সাহিত্যকে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে কবির ওপর আরো গবেষণা করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নজরুল ইনস্টিটিউট অনেক গবেষণা করছে।
নজরুল সাহিত্যকে বিশ্ববাসীর সামনে পরিচিত ও আদৃত করতে আরো বেশি তাকে অনুবাদ করতে হবে।
বাংলার সৃজনশীল সাহিত্যকে আরো সমৃদ্ধ করতে বিদেশি ভাষায় আমাদের সাহিত্যকে আরো অনুবাদ করা জরুরি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি সেটি সফল হলে নজরুলের স্বপ্নও স্বার্থক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এমএএএম/আরএ