আগামী তিন বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও ফিসারিজ বিভাগের সহযোগিতায় এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কৃষি প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের আটটি পুকুরে শিক্ষার্থীদের গোসল, সাঁতার ও ফিসারিজ বিভাগের গবেষণা কাজে ব্যবহারে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
কমিটির তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হল পুকুর, হবিবুর রহমান হল পুকুর, মন্নুজান হল সংলগ্ন পুকুর, সায়েন্স ওয়ার্কসপ পুকুর, মেডিকেল সেন্টারের সামনের পুকুর, শহীদ হবিবুর রহমান হলের পশ্চিমের পুকুর, রোকেয়া হলের উত্তর-পূর্বের কচিয়া পুকুর ও পদ্ম পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই পুকুর সমূহের সংস্কারের মধ্যে রয়েছে- পুকুরের পাড় ও ঘাট নির্মাণ, সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ফুল গাছসহ অন্যান্য মানানসই গাছ লাগানো, বসার জায়গা নির্মাণ, ঘাস লাগানো, পুকুরের পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ ও বিভিন্ন আলোকসজ্জার বাতি লাগানো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা যায়, পুকুরগুলো সংরক্ষণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪২ টাকা। আর পুকুরগুলোতে মাছের পোনা ছাড়া ও পোনা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যয় হবে ১০ লাখ টাকা। পুকুরগুলোর সার্বিক কাজ কৃষি প্রকল্পের নিজস্ব অর্থায়নে সম্পাদন করা হবে। প্রকৌশল দফতর এ সব কাজের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ওই সব পুকুরে মাছ ধরা, গবাদিপশু গোসল করানো, কাপড় ধোয়া বা সামগ্রিক পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সাত পুকুর গবেষণা প্রকল্পের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সংস্কারের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়াতে ও পুকুরগুলো সংরক্ষণ করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এনটি