বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় মামুনুর রশিদ ও রাব্বি শেখ নামে দুইজনকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাতে শেখ রাসেল হলে আটটি সিট ফাঁকা থাকায় ওই সিটে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ আহমেদ নয়ন। এ সময় ওই হলের ছাত্রলীগ সভাপতি রুহুল কুদ্দুস জোহার সঙ্গে তার বাক বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষকালে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়।
আহতদের দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বর আহত হওয়ায় মামুনুর রশিদ ও রব্বি শেখ নামে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার (ওসি, তদন্ত) বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, খবর সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ দেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. খালিদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
এনটি