এরইমধ্যে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের নিজ উদ্যোগেই পাঠাচ্ছেন না। পাশাপাশি শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সোমবার (১ জুলাই) ও মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিদ্যালয়টি বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান রাকিব বাংলানিউজকে বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভবনটি একটি পুকুরের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। গত ২/৩ বছর ধরে বিদ্যালয়ের নিচ তলার দু’টি কক্ষে সাপের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। পরে আমরা স্থানীয়ভাবে সাপ নিধনের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। এসিডও দেই কক্ষগুলোতে।
সম্প্রতি ভবনের নিচ তলার মেঝে (ফ্লোর) কিছুটা দেবে গেছে। গত শনিবার থেকে বিদ্যালয়ের নিচ তলার পঞ্চম শ্রেণির কক্ষ ও শিক্ষকদের একটি কক্ষ থেকে সাপ ও সাপের ছানা বেরিয়ে আসতে শুরু করে। ওইদিন থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৬০টির মতো সাপ পিটিয়ে মারা হলেও এর উপদ্রব কমছে না।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, তারা শিশুদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে সোমবার ও মঙ্গলবার বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি পটুয়াখালীর সাপের খামার থেকে সাপুরিয়া এনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাপ খোঁজা হচ্ছে। এ পর্যন্ত সাপের ছানা ও ডিম পাওয়া গেলেও বড় সাপ খুঁজছেন তারা। তবে এ সাপ বিষধর কি-না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বিদ্যালয় রমজান ও ঈদের ছুটিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এ উপদ্রবটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। নিচতলায় যেখানে সেখানে সাপ দেখতে পাওয়ায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরাও আতঙ্কে আছেন।
এ ব্যাপারে মুলাদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সাপ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না আসায় স্কুল সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দ্রুত বিদ্যালয়ের ফ্লোর ভেঙে বালু দিয়ে ভরাট করে পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। ফ্লোর ঠিক করে শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সাপ আতঙ্ক দূর করার পরই ক্লাস শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৯
এমএস/আরবি/