বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে রাকসু নির্বাচন সংলাপ কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ তথ্য জানান পরিষদের সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সাবিনা সুলতানা বলেন, রাকসু নির্বাচনের জন্য হলে যে পরিবেশ দরকার তা আছে কি না সেটা আগে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোবাররা সিদ্দিকা বলেন, এখন হলে সহাবস্থান নেই। ছেলেদের হলে কেমন সেটা জানি না, তবে মেয়েদের হলেও সমস্যা রয়েছে। আগে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে, এরপর নির্বাচন দেওয়ার জন্য আমরা মত দিয়েছি। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে সংলাপ কমিটি সরাসরি নির্বাচনের বিষয়ে মতামত গ্রহণ করবে বলে জানায় প্রাধ্যক্ষ পরিষদ। তবে কবে নাগাদ তারা মতামত নেওয়ার কাজ শুরু করবে এ প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব কেউ দিতে পারেননি।
জানতে চাইলে সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, প্রাধ্যক্ষ পরিষদ তাদের মতামত দিয়েছে। কমিটি তাদের মতামতগুলো পর্যালোচনা করবে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নিতে আহ্বান জানিয়েছে, পাশাপাশি তারা জানিয়েছে হলে সহাবস্থান নেই। এটি হল প্রাধ্যক্ষরা নিশ্চিত করার পরই নির্বাচনের চূড়ান্ত কাজ শুরু হবে।
এসময় রাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মীর ইবনে ওয়াহেদ, সংলাপ কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০ জানুয়ারি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট রাকসু নির্বাচন সংলাপ কমিটি গঠন করে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছ থেকে গঠনতন্ত্র সংগ্রহ করে সংলাপ শেষ করেছে। সংলাপে সব ছাত্র সংগঠনই সহাবস্থানের দাবি জানিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এসএইচ