দেশের ১০ শিক্ষাবোর্ডের প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গতবারের চেয়ে দিগুণেরও বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে পাস না করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০১৮ সালের চেয়ে কমেছে।
সারাদেশের মোট ৮ হাজার ৯৮৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। যা গতবার ছিল ৮ হাজার ৯৪৫টি। এবার মোট কেন্দ্র ছিল ২৫৬০টি, যা গতবার ছিল ২৫৪০টি। এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কারণে বহিষ্কার হয়েছেন ৬৬১ জন, যা গতবার ৮২৬ জন।
অন্যদিকে ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, শতভাগ পাস করেছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্য ৭১, যা গতবার ছিল ১১২টি। আর একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৩, যা গতবার ছিল ৩৫টি।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে গড় পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এরমধ্যে পাস করেছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। ফেল করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এসএইচ