কর্তৃপক্ষ বলছে, বসন্ত মৌসুমে পরীক্ষা হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ ছিল, তাই পাসের হার গতবারের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে, অর্জিত ফলাফলকে সার্বিকভাবে সন্তোষজনক বলেই মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসি বেগম।
এবছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মোট এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯৩০ জন। এর মধ্যে, অনুপস্থিত ছিলেন পাঁচ জন।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৭৫ জন। অকৃতকার্য হয়েছেন সাত শিক্ষার্থী।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কিছুটা কমেছে। ২০১৮ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৮৫৮ জন, পাসের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯৯৭ জন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসি বেগম বলেন, গতবারের তুলনায় পাসের হার সামান্য কম। তবে, এটাকে খারাপ বলব না। এবছর যে সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সে সময় পক্সের (বসন্ত) মৌসুম ছিল, অনেকে অসুস্থ থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। আবার, অনেকে অসুস্থ অবস্থাতেই পরীক্ষা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আশা করি, সামান্য খারাপ করলেই যে সব খারাপ হয়ে যাবে, এটাতে আমি বিশ্বাসী না। এসব অতিক্রম করেই আমরা আগামীতে আরও ভালো করব।
এ বছর সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে, পাস করেছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। অকৃতকার্য হয়েছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। শতভাগ পাস করেছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯০৯টি। একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান মোট ৪১টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
ইএআর/একে