বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি নিয়ে প্রায় ১০৪টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং (টিটি) কলেজ ১৪টি সরকারি কলেজের মতো এক ও অভিন্ন একাডেমিক ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিএড প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, সরকারের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই উদ্যোক্তাদের একক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় সংগ্রাম করে টিকে আছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমরা যাদের ট্রেনিং দিচ্ছি, তাদের এমপিও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের এমপিও দেওয়া হচ্ছে না। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রশিক্ষকরা বছরের পর বছর নাম মাত্র বেতন কিংবা বিনা বেতনে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
সুযোগ সুবিধা এবং প্রশিক্ষণের ব্যাপারে তিনি বলেন, বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষকরা দেশ-বিদেশের ট্রেনিং থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষকরাই যদি পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের ট্রেনিং না পান, তবে তারা উন্নত প্রশিক্ষক হবেন কীভাবে! আমাদের বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোর শিক্ষকদের মাঝে এখনও কাঙ্ক্ষিত মানের ডিজিটাল ছোঁয়া লাগেনি। কারণ আমাদের শিক্ষকরা আজও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর ট্রেনিং পাননি এবং কলেজগুলোতে ল্যাব কিংবা পাঠদানের ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি।
এ অবস্থায় বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিকরণ, শিক্ষকদের আবাসন, শিক্ষকদের নিত্যনতুন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা এবং প্রতিটি কলেজের জন্য জায়গার ব্যবস্থা করার দাবিতে সমিতির পক্ষ থেকে এ মহাসমাবেশ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এইচএমএস/টিএ