এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারক শেখ হাসান আরিফ ও রাজিক-আল-জালিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত ১৪ জুলাই এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আ ফ ম হাকিম।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুচিরা হোসাইন ও সামিরা তারান্নুম রাবেয়া।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজান উদ্দিনের আমলে ২০১৭ সালের শেষের দিকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭টি শূন্য পদের বিপরীতে সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতিমালা অনুসারে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫০ থাকা আবশ্যক করা হয়। তখন সে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সে বিজ্ঞপ্তিকে বৈধ ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান নিয়োগের যোগ্যতা শিথিল করে স্নাতক পর্যায়ে সিজিপিএ ৩ দশমিক ২৫ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৩ দশমিক ৫০ করা হয়। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আগের বিজ্ঞপ্তিকে বাতিল করে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নতুন নীতিমালায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিভাগের অধ্যাপক জিন্নাত আরা বেগম। এতে রাষ্ট্রপতি দফতরের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ও বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির তিন অধ্যাপককে বিবাদী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এসএইচ