মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম জাফর ইকবাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন।
এতে বলা হয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের পাশের ফুটপাতে ৩৮ দিন যাবৎ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি আমরা।
সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বদরুল আমিন সরকার ফরহাদ বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ ও ভালো পোশাক কিনে দিতে পারি না। বাবা-মা অসুস্থ হলে চিকিৎসার খরচ যোগাতে পারি না। মানবেতর জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতেই কেবল আমরা মানবতার জননী যিনি ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ চার হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন। যিনি ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে বুকে টেনে নিয়েছেন। যিনি নিজ অর্থে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তার দূরদর্শিতায় আজ মধ্যমআয়ের এই দেশে ৫ লাখ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণায় আধুনিক বাংলার স্বপ্ন দেখাতে আমাদের প্রেরণা যোগায়।
কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদিকা লীলা রানী বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চামেলী হলে বলেন, ২০১২ সালের ২৭ মের আগে বিদ্যালয়ের নামে দলিল সৃজন করেছেন ও পাঠদানের জন্য আবেদন করেছেন সেগুলো জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে এ বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাদপড়া বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মো. মামুনুর রশীদ খোকনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন, মহাসচিব কামাল হোসেন, সংগঠনের নেতা মোখলেছুর রহমান মানিক, শামসুল হক, রফিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, আফরোজা আক্তার, সেলিম মিয়া, লিটন হোসেন, মনির হোসেন, মো. কামরুল, মহসিন উদ্দিন, আ. হক, বাবুল আখতার, মজিবর রহমান, শরিফা খাতুন, নাজমা আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এমএইচ/এএ