মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদের কাছে এ স্মারকলিপি জমা দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, সাত কলেজ সংকট তৈরি করেছে। আমরা এই সংকট সমাধানের কথা আমাদের আস্থার ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিচ্ছি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সংকট সমাধান হোক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলোতে টানা তৃতীয়দিনের মতো তালা দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলে। এসময় আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথাকাটি হয়।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের দেওয়া তালা ভেঙে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করে। এসময় ছাত্রলীগের শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক শাখার নেতাকর্মীরা ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন।
এ বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, আমি মল চত্বরে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন জহুরুল হক হল ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে হঠাৎ আমার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আমাদের সঙ্গে যে মেয়েরা ছিল তাদেরও লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় সমাবেশ করেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এসকেবি/এএ