রোববার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মৌন মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল ও বিভাগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ডেঙ্গু টেস্টের যাবতীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা, উখিনুর মৃত্যর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নেওয়া এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।
দাবি না মানলে লাগাতার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান আন্দোলনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবে জানালে শিক্ষার্থীরা এতে অসম্মতি জানান।
পরে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় উপাচার্য।
আন্দোলনের ব্যাপারে উখিংনুর সহপাঠী এরফানুল ইসলাম ইফতু বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা ব্যাচের বন্ধুরা বিকেল পাঁচটায় আবার বসবো। তবে আমরা ধারাবাহিক ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা কাদের বিরুদ্ধে আল্টিমেটাম দিচ্ছে। আল্টিমেটাম দিয়ে কী হবে? এটা একটা ভাইরাস জ্বর। শুধু আমরা না, পুরো রাষ্ট্র এটাতে আক্রান্ত। আমাদের সবাইকে এর বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে মারা যান উখিংনু।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ জুলাই ২৮, ২০১৯
এএ