তিনি বলেছেন, নতুন শক্তির উৎস খুঁজতে আমাদের যথাসময়ে, যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য তরুণ গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) বিভাগ আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘সাস্টটেইনেবল পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সিম্পোজিয়ামে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানী উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম বাংলাদেশের জ্বালানির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে মূল বক্তব্য রাখেন।
এ সিম্পোজিয়ামে ছয়টি পেপার, ৩১ পোস্টার ও ২৮টি গবেষণা প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বর্তমানে জ্বালানীর উৎসের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানী, কয়লা ইত্যাদি রয়েছে। এগুলো এক সময় ফুরিয়ে যাবে। এজন্য আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নবায়নযোগ্য জ্বালানী থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিবিড় গবেষণা পরিচালনার আহ্বান জানান।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী নিয়ে এ ধরনের সিম্পোজিয়াম আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারি। সঠিক দিক-নির্দেশনা পাই।
সভাপতির বক্তব্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনও শক্তির নতুন উৎস খুঁজতে গবেষণার উপর জোর দেন।
তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে গবেষণার জন্য টাকার অভাব নেই। শুধু আপনারা যথাযথভাবে গবেষণা প্রস্তাব দেন। এ গবেষণা প্রস্তাব যথাযথ হলে দীর্ঘমেয়াদে যবিপ্রবিও গবেষণা অনুদান দেবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক, বাংলাদেশ এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিলের সদস্য (যুগ্ম সচিব) মো. শমসের আলী, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক চিত্রলেখা কর্মকার ও মো. মাসুদ রানা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
ইউজি/এএটি