শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বুধবার (০৭ আগস্ট) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সকল প্রকার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
‘এ সময় খেলার মাঠ, ফুলের টব, পানি জমে এমন যেকোনো পাত্রে এডিস মশার প্রজনন প্রক্রিয়া আরো বেগবান হয়ে উঠতে পারে। এতে সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রতিরোধ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। ’
এমতাবস্থায়, ঈদের ছুটির সময় একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে কর্মচারী, স্কাউট, বিএনসিসি এবং শিক্ষার্থী সমন্বয়ে ৬ থেকে ১০ জনের টিম গঠন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এর আশেপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভাবনা থাকে (যেমন- ফুলের টব, পানির ট্যাপের আশপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ-এসির পানি জমার ট্রে, বাথরুমের পানির বালতি ইত্যাদি) সেসব জায়গা চিহ্নিত করে একদিন অন্তর পরিষ্কার করতে হবে।
বাথরুমের বদনা এবং বালতি পানি শূন্য করে উল্টিয়ে রাখতে হবে। হাই কমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে। বাথরুমের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা অন্য কিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে।
কোন জায়গায় জমাটবদ্ধ পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে অথবা জমাটবদ্ধ পানি নিষ্কাশন করতে হবে।
আগামী ১২-১৩ আগস্ট ব্যতীত প্রত্যহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস খোলা রাখতে হবে। রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার এ সংক্রান্ত টিমে নিযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ ঈদের ছুটিতে গেলে তাদের স্থলে উপযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ