উচ্চ আদালতের বিচারক শেখ হাসান আরিফ ও মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত ২১ আগস্ট এ আদেশ দেন।
নতুন নীতিমালায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগরের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত এ আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০১৬ সালের নভেম্বরে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তিনটি শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্ল্যানিং কমিটি প্রভাষক পদে প্ল্যান্ট প্যাথলজি, জেনেটিক্স অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং ও এগ্রোনমি/এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন থেকে পাসকরা আবেদন করতে পারবে বলে উল্লেখ করে। কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরে আর শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। চলতি বছরের ৩০ জুলাই নতুন করে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই প্রভাষক পদে আবেদনের জন্য উল্লিখিত বিষয়গুলোর সঙ্গে ‘এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি’ বিষয় যুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্ল্যানিং কমিটি নির্ধারিত বিষয়গুলোর সঙ্গে এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি যুক্ত করা অযৌক্তিক। উল্লিখিত বিভাগগুলোর সঙ্গে এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি বিষয়টি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ’
বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য ও রিট আবেদনকারী অধ্যাপক মু. আলী আসগর বলেন, স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। কিন্তু প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি বিভাগটি যুক্ত করেছেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারী বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তারা যেটাতে ভালো মনে করেছেন সে অনুযায়ীই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এসএইচ