রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডাকসু আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতি ভাবনা ও স্বাধীনতার গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
নুরুল হক বলেন, সুশৃঙ্খল একটি রাষ্ট্র কীভাবে গড়ে তোলা যায়, সেই ভাবনা থেকে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করতে চেয়েছিলেন। বাকশাল গঠনে যদি কোনো ভুল থেকে থাকে, আমার মনে হয় তখন যারা রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের ছিলেন, যারা তাকে মুজিব ভাই বলে সম্বোধন করতেন, তারা চাইলে বসে আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে আরও সম্পাদনা, বর্জন-পরিমার্জন করতে পারতেন। কিন্তু এরজন্য এমন একজন নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হবে, এটি আমাদের এবং ওই সময়ের রাজনীতিবিদদের জন্য একটি লজ্জার বিষয়।
ডাকসু ভিপি বলেন, বঙ্গবন্ধু অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদী নাম, বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি প্রেরণার নাম। যিনি আমৃত্য মানুষের অধিকার আদায়ে লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। রাজনীতিবিদ তথা ছাত্র নেতাদের সে চেতনা ধারণ করে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। এখন ঢাবিতে ছাত্রলীগের একটা শক্ত অবস্থান ও প্রভাব রয়েছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের গণরুম ও গেস্টরুম নামক কারাগারের নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য ছাত্রলীগকে সোচ্চার হতে হবে।
উদ্বোধনকালে ঢাবি উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতির ভাবনা কেমন ছিল তা আমরা সহজেই জানতে পারি, যদি আমরা মুক্তিযুদ্ধের গানগুলোর দিকে নজর দেই। জাতির পিতা সেই রকম গান পছন্দ করতেন যেই গানে স্বাধীনতার কথা রয়েছে, যেই গানে ভাষার কথা রয়েছে। উদার নৈতিকতা ও মানবিকতায় বঙ্গবন্ধু উৎসাহ দিতেন।
ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির মানুষ। কিন্তু তার আরেকটি জগত আছে সেটা হলো তার সংস্কৃতি ভাবনার জায়গা, ভাষা ভাবনার জায়গা, শিল্প ভাবনার জায়গা। আমাদের সামনে এখন দু’টি বই আছে অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা। তার এই বইগুলো দেখলে আমরা নতুন একজন লেখক বঙ্গবন্ধুকে আবিষ্কার করতে পারি। তিনি প্রথম সারির লেখক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এসকেবি/এসএইচ