সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত আটটার দিকে তাদের আটক করা হয়।
তবে আটক বহিরাগতরা দাবি করেন, তারা জুয়া খেলছিলেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন কর্মচারী ক্লাবে দু’টি কক্ষে ৩৫ থেকে ৪০জন লোক কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে জুয়া খেলছিলেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে ১২ জনকে আটক করে। অভিযানে দুই কক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ তাস উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করে চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ইমান হাসান জানান, এখানে খুবই অল্প পরিমাণ বাজিতে জুয়া খেলা হয়। কখনো হয়তো পেপসি বা চায়ের বাজিতেও খেলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ক্লাবগুলোতে আরও বড় বাজিতে জুয়া খেলা হয়। কিন্তু সেখানে পুলিশ বা প্রক্টর অভিযান চালাতে পারে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ক্লাবে মাদক ও জুয়া খেলা হয় এমন তথ্যের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কর্মচারী ক্লাবে অভিযান চালিয়েছি। এ সময় জুয়া খেলার অপরাধে কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, জুয়ার আসর থেকে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জনেক আটক করা হয়েছে। পরে প্রক্টরে সঙ্গে কথা বলে বেশ কয়েকজনকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। বাকি ১২ জনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদেরকেও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
পিএম/এইচএডি