মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাবি সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী শ্রবণা শফিক দীপ্তি।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে রোকেয়া হলে এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাই। এতে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে চারটি পোস্টে আটজন কর্মচারী নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। আমি হলের এক দাদুর (কর্মচারী) মাধ্যমে জানতে পারি, রোকেয়া হল সংসদের ভিপি ইশরাত জাহান তন্বী আট লাখ টাকার বিনিময়ে কর্মচারী কামাল উদ্দীনের ছেলে কামরুজ্জামানকে নিয়োগ দিচ্ছে। জিএস সায়মা আক্তার প্রমি পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে মালি চৌহানের ছেলে পলাশ চৌহানকে নিয়োগ দিচ্ছে। হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিএম লিপি ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশা মিলে আট লাখ টাকার বিনিময়ে একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়োগ দিচ্ছে। আর এতে ভাগ-বাটোয়ারা না পেয়ে হল সংসদের এজিএস ফাল্গুনী তন্বী ক্ষুব্ধ হয়। এ ঘটনায় হল সংসদ ও ছাত্রলীগের সহযোগিতা করার জন্য তাদের দায়ী করেন তিনি।
নিয়োগ বাণিজ্যের খবর ফেসবুকে প্রকাশ করার কারণে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছে দাবি করে দীপ্তি বলেন, হল প্রাধ্যক্ষ অফিসে তদন্ত করার নামে আমাকে ডাকা হয়। সেখানে আমি উপস্থিত হলে হল প্রভোস্ট, ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার, ভিপি তন্বী, জিএস প্রমি, এজিএস তন্বী ও শ্রাবণী দিশা আমাকে বিভিন্ন গালাগাল ও হুমকি দেয়। তবে এ ঘটনায় হল প্রাধ্যক্ষ ও হল সংসদের নেতা-নেত্রীরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে হলের শিক্ষার্থী সায়েদা আফরিন শাফি, জয়ন্তী রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এসকেবি/আরবি/