মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. সিরাজিস সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওপর শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি/পদোন্নয়ন সম্পর্কিত একটি অভিন্ন নীতিমালা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে আসছিল।
এ নীতিমালা সম্পর্কিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে স্পষ্ট যে, এটি একটি অস্পষ্ট, অসম্পূর্ণ ও বৈষম্যপূর্ণ নীতিমালা। এ নীতিমালাটি অনুমোদন দেওয়া হলে উচ্চশিক্ষার পরিবেশ ও গবেষণা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে অসুস্থ ও অসম প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও উচ্চতর গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 'বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩' এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করেছিলেন। সুতরাং অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন বঙ্গবন্ধুর উচ্চশিক্ষা নিয়ে চিন্তা-চেতনার পরিপন্থী ও তার প্রদত্ত স্বায়ত্তশাসনের সাংঘর্ষিক বলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে।
সঙ্গত কারণে উচ্চতর গবেষণার অন্তরায় ও স্বায়ত্তশাসনের জন্য হুমকি এ অভিন্ন নীতিমালা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রত্যাখ্যান করছে। একইসঙ্গে বিদ্যমান চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন 'বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩' এর আলোকে পূর্ণরূপে নিশ্চিত করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএস/আরবি/