অবরোধ চলাকালে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপস্থিত হন। এসময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে দুই পক্ষের কথাবার্তা।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আমরা তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। তবে, হলের স্থান সম্পূর্ণ পরিবর্তন করা সময়সাপেক্ষ। নির্ধারিত স্থান থেকে একটু এপাশ-ওপাশ করা যেতে পারে।
উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, যদি দুর্নীতি হয়, তাহলে আমি তৃতীয় কোনো পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি। পুরো বিষয়ের তদন্ত হোক।
তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিনটি দাবির মধ্যে ছাত্র হলের জন্য বিকল্প স্থান নির্বাচন ও অস্বচ্ছতা দূর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তারা। তবে, প্রকল্পে দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্তের বিষয়ে বর্তমান উপাচার্যকে নির্বাহী প্রধান রেখে কোনো আলোচনা করতে রাজি নন তারা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মো. আশিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগের বিষয় ছাড়া আমরা উপাচার্যের সঙ্গে বসতে রাজি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিক হতে হবে। আর, দুর্নীতির অভিযোগে যেহেতু উপাচার্য নিজেই অভিযুক্ত, তাই তাকে নির্বাহী প্রধান করে আমরা কোনো আলোচনায় বসতে পারি না। রাষ্ট্রপক্ষের কোনো প্রতিনিধি আলোচনায় নির্বাহী প্রধান হলে আলোচনায় বসবো। সেটা হতে পারে আচার্যের কোনো প্রতিনিধি, ইউজিসির সদস্য অথবা মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তি।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন আন্দালনকারীরা। এতে টানা তিন দিন অবরুদ্ধ রয়েছে প্রশাসনিক কার্যালয়।
আরও পড়ুন> জাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
একে