মাদ্রাসাটির কাগজপত্রে ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে ৫ জন শিক্ষক ও প্রায় ২শ’ শিক্ষার্থী দেখিয়ে আসছেন মাদ্রাসা কমিটি।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পযন্ত মাদ্রাসার স্থান বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের ধূপতি এলাকায় ঘুরেও ভবন অথবা নামমাত্র কাঠের ঘরের অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি। অথচ বছরের পর বছর কাগজপত্রে দেখানো হচ্ছে মাদ্রাসার কার্যক্রম। ভালো ফলাফল দেখিয়ে আবেদন করা হয়েছে সরকারিকরণের জন্য।
জানা যায়, মাদ্রাসার কার্যক্রম ও ভালো ফলাফলে সন্তুষ্ট হয়ে ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ পশ্চিম ধূপতি মনসাতলী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী নামে একটি মাদ্রাসাকে সাত বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন দেয় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড। আরও ভালো
করার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ১২টি নির্দেশনা দেয় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। এরপর প্রথম মেয়াদ শেষ হলে আরও সাত বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন দেয় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। বর্তমানে সরকারিকরণ তালিকার শতাধিক মাদ্রাসার
মধ্যে ১৬ নম্বরে রয়েছে এ অস্তিত্বহীন মাদ্রাসাটির নাম।
দক্ষিণ পশ্চিম ধূপতি মনসাতলী এলাকার বাসিন্দা সুমন খান বাংলানিউজকে জানান, এ নামের মাদ্রাসা ও এলাকায় নেই।
অবশ্য কাগজপত্রে যাদের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি হিসেবে দেখানো হয়েছে তারা বলছেন, দুলাল নামে একজন তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করে আসছেন।
এ ব্যাপারে জানতে দুলালের বাড়িতে গেলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে দুলালের স্ত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দু’বছর আগেও চলতো মাদ্রাসার কার্যক্রম।
বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন ও মাদ্রাসার নামে জমির দলিল দেখে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ্ বাংলানিউজকে জানান, তালিকা পাঠানোর আগে পরিদর্শন ও যাচাই-বাছাই করা অবশ্যই বাধ্যতামূলক। আর ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এসআরএস