সাপটির ছবি প্রতক্ষদর্শীরা এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে পোস্ট করেছেন। যে ছবিতে সাপটিকে চলে যেতে যেতে ফনা তুলতেও দেখা গেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, এটি একটি বিষধর সাপ, যাকে স্থানীয়ভাবে কালিজাত সাপও বলা হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনের বেলা এ সাপ দেখা যাওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছরও বর্ষার সময় ক্যাম্পাসে সাপ দেখা যায়। কিন্তু এ বছর সাপের উপদ্রব গতবারের চেয়ে বেশি। এর কারণ হিসেবে তারা ক্যাম্পাসের ভেতরে জঙ্গল ও জলাশয় পরিষ্কার না করাকে দায়ী করছেন।
মোটামুটি বড় আকৃতির সাপটিকে সামনে থেকে দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, ক্লাস থাকায় সকাল সাড়ে ৯টার সময় প্রশাসনিক ভবন-২ এর দিকে যাচ্ছিলাম। ভবনের নিচতলার সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে হঠাৎ করে আমাদের চোখের সামনে দিয়ে সাপটি যেতে দেখা যায়। এতবড় সাপ দেখে ভয় পেয়ে যাই। সাপটি যাওয়ার সময় কিছুটা ফনাও তুলেছে, ভয় পেয়ে আর বেশি কিছু করতে যাইনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, এ সাপের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে কামড়ানোর ঘটনা ঘটেনি। ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় বড় হয়ে গেছে, জলাশয় ও ঝোপঝাড় দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। আর বর্ষার এ সময়টাতে গর্তে পানি থাকার কারণেই হয়তো সাপগুলো বাইরে বের হয়ে আসছে।
তিনি জানান, আগের সাপগুলো আকারে ছোট হলেও আজ যে সাপটি দেখা গেছে তা আকারে অনেক বড়। এরআগে ক্যাম্পাসের রাস্তায় সাপ দেখা গেছে। এ নিয়ে সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অতিদ্রুত জলাশয় ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার পাশাপাশি সাপের উপদ্রব বন্ধে কার্যকর ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেওয়া উচিত।
এদিকে ক্যাম্পাস খুললে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, সাপের বিষয়টি আজ সকালে আমরা জেনেছি, যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ক্লিনিং বা পরিষ্কার করার কর্মসূচি প্রতিনিয়ত চলছে। তবে বর্ষার ঝোপ-ঝাড় বড় হতে পারে, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএস/এএ