জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাকিব। এসময় রাকিব তার কর্মীদের নিয়ে জিয়া হল মোড়ে অবস্থান নেয়।
রাকিব ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার খবর জানতে পেরে বিদ্রোহী গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। বিদ্রোহী গ্রুপের কর্মীরা মিছিল শুরু করে জিয়া হলের মোড়ের দিকে আসার খবর পেয়ে ছাত্রলীগ সম্পাদক ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।
বিদ্রোহী গ্রুপের মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়েও রাকিবকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে বিদ্রোহীরা সাদ্দাম হোসেন হল এবং লালন শাহ্ হলে প্রবেশ করে রাকিব-পলাশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের মধ্য আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সাধারণ সম্পাদক হয়ে আসার অডিও ফাঁস হলে সাধারণ সম্পাদক রাকিব ও সভাপতি পলাশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। ওইদিন থেকে রাকিবকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে টানা আন্দোলন করে আসছে নেতাকর্মীরা।
কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর শুক্রবারই প্রথম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাকিব। এদিকে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে কমিটির নেতারা এবং বিদ্রোহীরা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেফতার এবং তার শাস্তির দাবিতে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এতেও শিক্ষার্থীদের মধ্য বিরাজ করছে আতঙ্ক।
এ বিষয়ে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা ফয়সাল সিদ্দিকি আরাফাত বলেন, রাকিব ক্যাম্পাসে বহিরাগত ক্যাডারদের নিয়ে প্রবেশ করে আমাদের কর্মীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছিল। এর প্রতিবাদে কর্মীরা তাকে প্রতিহত করেছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আগামীকালকের কর্মসূচি নিয়ে আমার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে যাই। কথা বলা শেষ করে আমি চলে আসতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল করে আমারা কর্মীদের হয়রানি করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এসএইচ