বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, ১৮ অক্টোবর এই দুই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একইদিনে পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এই দুই প্রতিষ্ঠানের শুধুমাত্র একটিতেই পরীক্ষা দিতে পারবে।
একইদিনে দু’টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিপরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিভাবকরা।
অভিভাবক কামরুজ্জামান বলেন, ভর্তিপরীক্ষা একইদিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা ফরম নিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এতে একদিকে যেমন অর্থের অপচয়, অন্যদিকে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে পড়বে শিক্ষার্থীরা।
তিনি মানবিক দিক বিবেচনা করে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সময় পরিবর্তনের আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এমনতো নয় যে, পরীক্ষা দিলেই ভর্তির সুযোগ মেলে। একটায় না হলে অন্যটায় হবে এই আশায় একাধিক জায়গা থেকে ফরম তোলা হয়। এখন দেখছি একইদিনে দুই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের যেকোনো একটিতে দিতে হবে।
তারা আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু আছে তাতে দেখা যায়, ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ছুটতে হয় এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক জেলা থেকে আরেক জেলায়। ভর্তিপরীক্ষার তারিখ একইদিনে হলে অনেকেই দুই জায়গায় পরীক্ষা দিতে পারবে না। অনেক শিক্ষার্থী এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে পছন্দের বিষয়টিতে ভর্তি হতে পারেন না; এমন বিষয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হন, যা তিনি পড়তে চাননি। এর ফলে তিনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন না। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার যোগ্যতা সাপেক্ষে সব ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত। যার জন্য ভর্তিপরীক্ষার তারিখ নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন।
খুলনা থেকে এই বছর ভর্তিপরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া আব্দুল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভর্তিপরীক্ষার তারিখ একইদিনে হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিতে পারবো না। এটা অত্যন্ত দুঃখ ও হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একইদিন পরীক্ষার তারিখ না রাখলে দুই জায়গায় পরীক্ষা দিতে পারতাম। তিনি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের জোর দাবি জানান কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ৫ মিনিটে এমআইএসটির ভর্তিপরীক্ষা কমিটির প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হলে আপনারা জানতে পারবেন।
কুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, একইদিনে কুয়েট ও এমআইএসটির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ যেমন পড়েছে, তেমনি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েরও একইদিনে পরীক্ষা রয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তারিখ পরিবর্তনের দাবি করেছেন। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/