বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
এর আগে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পদত্যাগ করেছেন সহকারী প্রক্টর ড. মো. নাজমুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নুরউদ্দিন আহমেদ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
আরও পুড়ুন >> বশেমুরবিপ্রবির আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ
এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ওই সহকারী প্রক্টর দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় পদত্যাগ করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
তারও আগে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গত ২১ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ুন কবীর।
অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, কেলেঙ্কারিসহ ১৬টি কারণ দেখিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন দমাতে ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নোটিশও দেওয়া হয়।
পরে বহিরাগতরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বুধবার বিকেলে আহ্বায়ক ড. মো. আলমগীরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।
এই তদন্ত দল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্ত দলের সদস্যরা বহিরাগতদের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাদের লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করছেন। তারা শিক্ষকদের সঙ্গেও বলছেন এবং তাদের লিখিত বক্তব্য নিচ্ছেন।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার অনশন ও অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি চোখে কালো কাপড় বেঁধে ভিসির অপসারণের এক দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ইউজিসির গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশও করবেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এসআরএস/এইচএ