রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভাগের ২৮টি উপজেলার ৬২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের তুলনায় সিলেটে শিক্ষক-সংকট বেশি।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের পুষ্টি ও শিক্ষার বিষয়ে নজর দিতে হবে। তারা মেধা বিকাশের সুযোগ পেলেই দেশকে ঠিকভাবে এগিয়ে নিতে পারবো। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশে পুষ্টির যেন অভাব না হয়। তারা যেন সারাদিন বিদ্যালয়ে অভুক্ত না থাকে, সেই চিন্তা থেকে মিড ডে মিল চালু করা হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, বৃহত্তর সিলেটের ৬২২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল চালু হয়েছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ২শ’ শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত আছে।
তিনি বলেন, এখনো যেসব বিদ্যালয় বাকি আছে, অচিরেই সেগুলোতেও মিড ডে মিল শুরু হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সবার বড় ভূমিকা রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে উচ্চ মাধ্যমিক পাসের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে নানা পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও সরকারি করা হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু চা বাগানের শিশুরা নয়, নৃগোষ্ঠীর সব শিশুকেই শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। চা বাগানে যেসব এলাকায় বিদ্যালয় নেই, সেখানে শিগগিরই বিদ্যালয় চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।
এরআগে বিদ্যালয় ভবনের হলরুমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে মিড ডে মিলের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং এই কার্যক্রম চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়া, প্রতিটি বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল স্বচ্ছতার সঙ্গে পালনের নির্দেশনা দেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯ (আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা)
এনইউ/একে