রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পরই বড় পূজামণ্ডপের আয়োজন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ে। যেখানে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ হলের পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ হল সংশ্লিষ্ট সবাই উৎসবের অপেক্ষায় রয়েছেন। উপাসনালয়ের মূল মঞ্চে প্রতিমায় রং তুলি দেওয়া হচ্ছে। তার একপাশে গণেশ, লক্ষ্মী এবং অন্যপাশে রয়েছে কার্তিক আর স্বরস্বতীর প্রতিমা। প্রতিমাগুলোর জন্য তৈরি করা হয়েছে বাহনও।
এসব প্রতিমা তৈরিতে কাজ করছিলেন গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা বিবেকানন্দ। বিশ বছর ধরে এ পেশায় আছেন তিনি। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, দশ-বারো বছর ধরে কাজ করছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই কাজ শেষ করবো। এখানে আমরা খড়, মাটি, রশি, লোহা, বাঁশ, কাঠসহ বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করেছি। আলাপের একপর্যায়ে বলেন, অনেক কষ্ট করে তৈরি করি প্রতিমাগুলো। পরে আমরা সবাই সাধনা করি, পূজা করি। কিন্তু যখন বিসর্জন করা হয় তখন খুবই খারাপ লাগে একজন শিল্পী হিসেবে। এখানে যতটা না পরিশ্রম রয়েছে তারচেয়ে ভালোবাসা কাজ করে বেশি। অনেকেই এই প্রতিমা তৈরির কাজগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন মনোযোগ দিয়ে।
প্রতিমা কারিগর নেপাল চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে বাহির থেকে লোকজন বেশি আসেন। যার কারণ হচ্ছে খোলামেলা পরিবেশ রয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধা হয় অনেক।
পূজা উদ্যাপনের জন্য গঠিত কমিটির সদস্য সাধন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করবো। ভিসি স্যার এসে পূজা উদ্বোধন করবেন।
অপরদিকে হলের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিক্ষাবৃত্তি, ধর্মীয় গ্রন্থ বিতরণ, পূজার মাহাত্ম্য সম্পর্কে সচেতন, দৃষ্টিকটূ প্রতিমা তৈরি থেকে বিরত, ধর্মীয় সঙ্গীত, প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে আবেগঘন পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস