সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক বৈঠকে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন তিনি।
দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে ইউজিসির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই বৈঠক ডাকে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বৈঠকে অংশ নেন।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভিসিদের নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। অনেক ভালো ভালো কথা হয়েছে। একজন বললেন যে ভিসি হিসেবে তিনি লজ্জা পান। ভিসিদের নিয়ে যেসব অপ্রীতিকর কথা হয়েছে সেসব কী পত্রিকার তৈরি? ভিসিদের অনেকে নিজের পদের অপব্যবহার ও অসদাচরণ করছেন। তারা পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নিয়োগ সহজীকরণের কথা আসছে। কিন্তু যাদের কারণে উচ্চশিক্ষা ধ্বংসের পর্যায়ে গেলো ভবিষ্যতে তাদের মতো কেউ ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাবেন না, তার নিশ্চয়তা কে দেবে?
>>>আরও পড়ুন...ভিসির পদত্যাগে আইনি প্রক্রিয়ার দিকে এগোচ্ছি: দীপু মনি
ভিসিদের আলোচনা পর্ব শুরু হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে। ভিসিদের মধ্যে শেষ বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাজ আমাদের চেয়ে একেবারে ভিন্ন নয়। আমরাও একই কাজ করি। ইউজিসিতে যারা আছেন তারাও আপনাদের মানুষ। ভিসিরা ফোন দিলে আমি সম্মানিত বোধ করি। আপনাদের কাছে আমরা অনেক কিছু প্রত্যাশা করি। আমাদের লক্ষ্য নির্ধারিত ও ঘোষিত আছে। সেখানে জাতিকে নিয়ে যেতে হবে। তাই শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে। শিক্ষার ব্যাপারে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। মানুষের ভুল হতে পারে। কিন্তু ভালো করার জন্য চেষ্টায় ত্রুটি থাকবে না বলে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, মানুষের কথা সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করছে। অনুরোধ থাকবে কথা বলার আগে সেটা বুঝে নিবেন। শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সাবধানে কথা বলবেন। সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নিতে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।
আপত্তির মুখে অভিন্ন নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে বিকেলে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় শিক্ষকরা প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালার ব্যাপারে প্রবল আপত্তি তুলে ধরেন।
তারা বলেন, ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের নামে অভিন্ন নীতিমালা করতে চাইছে। তাতে শিক্ষকদের শেকল দিয়ে বেঁধে দেওয়ার শামিল। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই অগ্রহণযোগ্য এ নীতিমালা সামনে আনা হয়েছে।
আগামী নভেম্বরে আবারও বৈঠক হতে পারে উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, তার আগে প্রকাশিত খসড়া নীতিমালায় কোথায় আপত্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া উন্নত হবে তার কৌশল বের করতে শিক্ষকদের দায়িত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
এমআইএইচ/এনটি