মানববন্ধন থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের ‘চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে অভিহিত করে শাস্তির দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে চলমান আন্দোলনকে আখ্যা দেওয়া হয় ষড়যন্ত্র হিসেবে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ এর ব্যানারে প্রায় ১০০ জন শিক্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানান, তারা যেন মানববন্ধনে অংশ নিতে না পারেন এজন্য আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার বাস আটকে দিয়েছে। কিন্তু তারা নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে উপাচার্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।
মানববন্ধনে জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার বলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ তা অবিশ্বাস্য। আলোচনার মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান সম্ভব। আলোচনায় না বসে শুধু আন্দোলন করলে তাকে ষড়যন্ত্র বলা যায়।
মানববন্ধনে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল অযৌক্তিক আন্দোলন করছে। কোনো দাবি যদি যৌক্তিক না হয় তবে তা ফলপ্রসূ হবে না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অযৌক্তিক আন্দোলন সফল হবে না। যারা আন্দোলন করছে তারা অচিরেই তাদের ভুল বুঝতে পারবে।
এদিকে মানববন্ধন থেকে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিনব্যাপি জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করার কথা জানান তারা।
পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরের সঞ্চালনায় এ মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফী, অধ্যাপক হানীফ আলী, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক এ এ মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এইচএডি