বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট শুরু করেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ধর্মঘট চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
এদিন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নুরুল আলম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজসহ সব কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে, উপাচার্যকে অপসারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আচার্য (রাষ্টপতি) বরাবর চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র অধ্যাপক রাইয়ান রাইন।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনের শুরুতে উপাচার্যের পদত্যাগ চাইনি। শুধু চেয়েছিলাম মহাপরিকল্পনাকে আবার সাজানো। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমে সবাই যখন জেনেছে, তিনি ও তার পরিবার এই অর্থ নিয়ে দুর্নীতি করেছেস, এরপরেই আমরা তার পদত্যাগ চেয়েছি। কারণ, একজন দুর্নীতিবাজ মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকতে পারেন না। আমরা তাকে অপসারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আচার্যকে চিঠি দেবো এবং আমরা মিটিং করে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক বলেন, একজন দুর্নীতিবাজ কখনোই উপাচার্য পদে থাকতে পারেন না। আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছি, কিন্তু তিনি সেটা মানেননি। তাই, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
একে