বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) সকাল থেকে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন জ্বোহা চত্বরে অবস্থান নেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত কুমার বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্ণধার চৌধুরী জাকারিয়া বলেন, তোমরা কতো টাকা দিতে পারবা? এর মানে কী দাঁড়ায়? তাই আমি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সাংবাদিকরা সঠিকভাবে বস্তুনিষ্ঠভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে না। একটা বাধা আছে। সেটা সরে গেলেই জাতির সামনে দেশের সামনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসবে। আমরা চাই অন্য যে দুর্নীতির খবরগুলো আছে সেগুলোও সামনে আসুক।
ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চলবে। পূজার ছুটির পর বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়া হবে।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতির কারণে সর্বোচ্চ রেজাল্ট ৩.৮৯ পেয়েও শিক্ষক হতে পারে না। কিন্তু উপাচার্যের জামাতা ৩.২৫ পেয়ে তাকে চাকুরিতে নিয়েছেন। একই ঘটনা উপ-উপাচার্যের জামাতার ক্ষেত্রেও।
এদিকে, একই দাবিতে শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধনে অংশ নেন তারা। শিক্ষার্থীরা ‘দুর্নীতির আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘স্বজনপ্রীতির আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারাও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এনটি