বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে দু’দিনের সর্বাত্মক ধর্মঘট শেষে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাকালে ১০ অক্টোবর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন, ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পদযাত্রা ও সমাবেশ, ১৬ অক্টোবর বিক্ষোভ মিছিল, ১৭ অক্টোবর সংহতি সমাবেশ এবং ১৯ অক্টোবর মশাল মিছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অবস্থা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির সঙ্গে উপাচার্য ও তার পরিবারের জড়িত থাকার অভিযোগসহ আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছে উপাচার্যকে অপসারণের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান আন্দোলনের মুখপাত্র দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলনের শুরুতেই উপাচার্যের পদত্যাগ চাইনি। আমরা শুধু চেয়েছিলাম মহাপরিকল্পনাকে পুনরায় সাজানো। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে সবাই যখন জেনেছে উপাচার্য এবং তার পরিবার দুর্নীতি করেছে, তারপরই আমরা তার পদত্যাগ চেয়েছি। কারণ, একজন দুর্নীতিবাজ মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকতে পারেন না। আমরা বৃহস্পতিবারই আচার্যকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে উপাচার্যকে অপসারণের যৌক্তিতা জানাবো। উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়ে তাকে অবহিত করবো।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে তার স্বেচ্ছায় পদত্যাগের দাবিতে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা। ওই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় টানা দু’দিন উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার্ত্মক ধর্মঘট পালন করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
আরবি/