ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফোনালাপ ফাঁস, তদন্তের দাবি রাবি উপ-উপাচার্যের

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৯
ফোনালাপ ফাঁস, তদন্তের দাবি রাবি উপ-উপাচার্যের

রাবি: চাকরি প্রত্যাশীর স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের অডিও ফাঁসের বিষয়টি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া।

বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এসময় তিনি নিজের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক জাকারিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, কথিত নিয়োগ বাণিজ্যে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানিকর কোনো ঘটনা আমার দ্বারা হয়নি। বরং আমি নিয়োগ বাণিজ্য উদঘাটন ও প্রতিরোধে সদা সচেষ্ট থেকেছি।  

আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড ছিল গত বছরের ১৩ নভেম্বর। এর নয়দিন আগে ৪ নভেম্বর আইন বিভাগে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির নথি আমার নজরে আসে। যা ইসলামী ব্যাংকে দুই লাখ টাকার একটি লেনদেনের রিসিপ্ট। বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখতে পাই, লেনদেনটি নীলফামারীর সৈয়দপুর শাখা থেকে রাজশাহীর আলুপট্টি শাখায় জমা হয়েছে।

আলোচিত নিয়োগ প্রার্থী নুরুল হুদাকে ছোটবেলা থেকেই স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছি। আমি সাবলীল ভঙ্গিতে নিজের নাম ও পরিচয় দিয়ে হুদার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকার উৎস জানার চেষ্টা করেছি। তখন তারা আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন, কিন্তু কাকে দিয়েছিলেন ওই সময় পরিপূর্ণ তথ্য তারা আমাকে দেননি।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য জাকারিয়া আইন বিভাগের আলোচিত নিয়োগের জন্য প্রার্থীর আর্থিক লেনদেনের ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বেশকিছু তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন। এছাড়া তিনি ৪ নভেম্বর ২০১৮ তারিখের নীলফামারীর সৈয়দপুর শাখা থেকে রাজশাহী শাখার ‘ডিসেন্ট ট্রেডার্স’ নামে একটি একাউন্টে দুই লাখ টাকার একটি জমা রিসিপ্ট, ডিসেন্ট ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারীর নাম মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, ছবি ও সহি-স্বাক্ষরসহ ব্যাংকের তথ্য উপস্থাপন করেন।

এসময় উপ-উপাচার্য আর্থিক লেনদেনে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মুখোশ উন্মোচন ও সত্য প্রকাশের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া। তবে কয়েকজন সাংবাদিক অভিযোগ করেলে তাদের কিছু প্রশ্ন উপ-উপাচার্য কৌশলে এড়িয়ে যান। এছাড়া কয়েকজন সাংবাদিক লিখিতভাবে প্রশ্ন করলেও তিনি জবাব দেননি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।