মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের পাদদেশে ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের আট দফা দাবি না মানা হবে, ততদিন বুয়েটের সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্ত করা খুনিদের ছাত্রত্ব আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে।
দায়ের করা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি তা সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে, ডিএসডব্লিউ কেন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছেন, তা তাকে বিকেল ৫টার মধ্যে সবার সামনে জবাবদিহি করতে হবে।
আবাসিক হলগুলোতে র্যাগের নামে ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সব ধরনের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন বন্ধে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।
আহসানউল্লা হল ও সোহরাওয়ার্দী হলের আগের ঘটনাগুলোতে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ নভেম্বর বিকেল ৫ টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
মামলা চলাকালীন সব খরচ ও আবরারের পরিবারের সব ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
সাংগঠনিক ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এসকেবি/একে