মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১২টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার ধস্তাধস্তি ও বাকবিতণ্ডা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মহাসড়কে গিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে চলে যেতে বললে তারা সেখানেই অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় তারা পাঁচ দফা দাবি জানান।
তাদের দাবিগুলো হলো- আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত সব খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ করতে হবে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম যারা চালানো ছাত্রলীগ নামের সেই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে, দেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল ও রাবির শিক্ষার্থীদের সব প্রকার হয়রানি ও হুমকি বন্ধ করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
অবরোধ চলাকালে দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মাসুদ রানা আসেন এবং দ্রুত রাস্তা ছেড়ে না দিলে তারা লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হবেন বলে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানসহ প্রক্টরিয়াল বডি এসে উপস্থিত হন। পরে প্রক্টর তাদের চলে যেতে বললে সন্ধ্যা ৬টায় মশাল মিছিল করার ঘোষণা দিয়ে তারা অবরোধ তুলে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এসএইচ