বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকসমাজ’ এবং ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকসমাজ’ ব্যানারে শিক্ষকরা জড়ো হয়।
একই সময় একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকসমাজ আয়োজিত কর্মসূচিতে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন আমরা সেটাকেই সমর্থন করছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের নামে যা চলছে তা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থি। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করতেই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। এছাড়া দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
এছাড়া ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ আয়োজিত কমসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে আবরার হত্যার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যদি কেউ দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে তার পরিণাম মৃত্যু। আবরারকে নৃশংসভাবে হত্যা শুধু ছাত্রলীগের নৃশংসতা নয়। এটি দেশের পুরো সিস্টেমের নৃশংসতা।
এছাড়া কর্মসূচি থেকে দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল, অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রাবি উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে দ্রুত অপসারণ ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত রাকসু নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
আরএ