বুধবার (৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চূড়ান্ত এ অনুমোদন দেন।
এর আগে গত ২ জুলাই স্থানীয় সংসদ সদস্য (পিরোজপুর-১) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুরে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সেখানে (পিরোজপুর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতা জানতে চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ আলী রেজা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, পিরোজপুর জেলার পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট ও ঝালকাঠী জেলায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। বিভাগীয় শহর বরিশালে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও কোনো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় নেই। পটুয়াখালী জেলায় একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) থাকলেও পটুয়াখালী পিরোজপুরের নিকটবর্তী কোনো জেলা নয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় পিরোজপুরে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অধিক সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই পিরোজপুরে সরকারি উদ্যোগে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালকে অবহিত করানো হয়েছে ওই চিঠির মাধ্যমে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, পিরোজপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদন করি। প্রধানমন্ত্রী ওই এলাকার মানুষের ও দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এএটি