বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী নিহত ফাহাদকে স্মরণ করে এসব কথা বলেন তার বন্ধু ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইনামুল হাসান শোভন।
তিনি বলেন, আমার নিজের সম্পর্কে গ্যারান্টি দিয়ে কোনো কিছু বলতে পারবো না।
শোভন বলেন, ফাহাদ কতটা মেধাবী ছিল, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল।
ফাহাদের মায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবরারের জন্যই তার মা চাকরি করতেন। ফাহাদের মায়ের সংসার বলতে কিছুই ছিল না। মায়ের সবকিছুই ছিল ফাহাদকে ঘিরে। তার মায়ের চেহারায় বয়সের তুলনায় অনেক বেশি ছাপ দেখা যায়। এগুলো ফাহাদের জন্যই।
নিহত ফাহাদের বন্ধু আরও বলেন, বুধবার (৯ অক্টোবর) বুয়েটের উপাচার্য ফাহাদের গ্রামের বাড়িতে গেলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়। একটা ছেলে কতটা ভালো হলে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করতে পারে! এলাকাবাসীর কাছে ফাহাদ হীরার টুকরো একটা ছেলে ছিল।
তিনি বলেন, আমি যখন প্রথম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ফাহাদের লাশ দেখি, তখন ভাবতেও পারিনি একটা মানুষকে এতটা নৃশংসভাবে কেউ মারতে পারে। যে ছেলেটা কখনো কোনো অন্যায় করেনি, তাকে এভাবে হত্যা করতে পারে, আমি ভাবতেও পারিনি।
ইমামুল হাসান শোভন বলেন, বুয়েটের কোনো ভাই আরেক ভাইকে এত নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করতে পারে, কল্পনাও করতে পারিনি। তাই, আমি সবার কাছে আবেদন করবো, আমরা এমন কোনো ভাই আর চাই না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
আরকেআর/একে